যশোর মেহগিনী - পলিশ ছাড়াঃ
আমাদের জানামতে যশোরের মেহগনী আমাদের অন্যান্য এলাকার মেহগনীর চেয়ে উন্নত। অন্যান্য এলাকার মেহগনী কাঠে সাধারণত গুছানো ফাইবার বা আঁশ থাকেনা, রঙ ফ্যাঁকাসে হয়, সাঁর এবং পলের মধ্যে রঙ এবং গুনগত মানের অনেক পার্থক্য হয় এবং পরিপক্বতা আসতে অনেক সময় লেগে যায়। অপরিকল্পিতভাবে রোপণ করা গাছগুলির গোরা অনেক মোটা হয় এবং আগা চিকন হয়, এতে কাঠের গুনগত মানও খারাপ হয় এবং উৎপাদন ও কম আসে।
যশোরের মেহগনীগুলো পরিকল্পিতভাবে রোপণ করা হয়। যেহেতু এই এলাকার কাঠের গুনগত মান ভালো হয়, কৃষকরা সেই কারনে দামও ভালো পায়, আর তাই তারা রবিশস্যের মত পরিকল্পিতভাবে রোপণ করেন এবং যত্ন নিয়ে থাকেন। অধিকাংশ সময়ই পরিপক্বতা না আসা পর্যন্ত তারা গাছগুলি কাটেনা।
যশোর মেহগনী কাঠের সাঁর এবং পলের মধ্যে তেমন একটা রঙ্গের এবং গুনগত মানের পার্থক্য হয়না, ঠিক অনেকটা গামারি কাঠের মত। গামারি কাঠের যেমন পুরোটাই সাদা, সাঁর এবং পলের মধ্যে কোন পার্থক্য বুঝা যায়না, তদ্রুপ যশোরের মেহগিনী পরিপক্ক হলে সাঁর এবং পলের রঙ এবং গুনগত মানের কোন পার্থক্য থাকেনা। এই এলাকার মেহগনী পরিপক্ক হতে মাটির কারণে সময়ও কম লাগে। যেহেতু গাছগুলি পরিকল্পিতভাবে রোপণ করা, সেই কারনে গাছগুলি অনেক লম্বা হয়, ফাইবারগুলো সোজা হয়, গোরা এবং আগার মধ্যে সাইজের তেমন একটা পার্থক্য থাকেনা, আর তাই উৎপাদন অনেক বেশি হয়ে থাকে। সমস্যা একটাই, দাম একটু তুলনামুলকভাবে বেশি।
মেহগিনী চৌকাঠ লাগানোর আগে বিটোমেন ও পলিশ অবশ্যই করতে হবে।